গদ্য 

ধরা যাক দু’একটা ইঁদুর এবার—।। হাসিন এহ্সাস লগ্ন

বার্জার পেইন্টের ঝাঁঝালো ঘ্রাণ আমাকে সবসময় টানে। নেইলপলিশ আর স্পিরিট। কাঠের দোকানের পাশ দিয়ে যাবার সময় বার্নিশ। ছোটবেলা থেকে এখনও অবধি নেইলপলিশ খাই। এলোপাতাড়ি মেখে থাকে ঠোঁটের আশপাশে। ওই ছোটবেলায় ছেঁড়া জুতার বিনিময়ে কটকটিঅলার পেছনে ছুটতে ছুটতে, কিংবা কাকের নিয়ে যাওয়া সাবানের পেছনে দৌঁড়োতে দৌঁড়োতে একসময় দেখলাম আমার ভালো লাগছে না। কিছু করছি না। কোথাও যাচ্ছি না। সেসময় এক বন্ধু জুটে গ্যালো। সে বলছে, my weariness amazes me. সে নাকি বিধ্বস্ত কোনো ভাঁড়ের সুর নিয়ে আর ভাবতে চায় না। তারপর একদিন পেলাম অন্যজনকে। ‘বুড়ি চাঁদ গেছে বুঝি বেনোজলে ভেসে? চমৎকার!…

Read More
কবিতা 

তাঁতার দস্যুর দল ।। সোহরাব ইফরান

(ক) ‘কবিবর মান্য হলা যবে আপন পিতার করোটিতে মদ্যপান করি’—হিজল জোবায়ের আধুনিক/ উত্তরাধুনিক ভাষাজ্ঞান এর সাথে পরিচিত হয়েছিলাম কাগজে যার কবিতা পড়ে, তিনি হিজল, কিংবা পদার্থ নদী বল বেয়ারিং। চরাচর ব্যাপ্তির দিনে তরুন কবিদের সাথে হিজল জোবায়ের এর এভাবেই সাক্ষাৎ ঘটে। “no distance can weigh you down, you come flying, facinatel, and at last lasting for light, poor moth, you perish in the flame.” “একটি উজ্জ্বল মাছ একবার উড়ে দৃশ্যত সুনীল কিন্তু প্রকৃত প্রস্তাবে স্বচ্ছ জলে পুনরায় ডুবে গেলো- এই স্মিত দৃশ্য দেখে নিয়ে বেদনায় গাঢ় রসে আপক্ক রক্তিম হলো…

Read More
কবিতা 

তনুজের সাত কবিতা

এখনও ঘাসের ছিটকিনি খুলে বসে আছো? ১ কাল একটা ফাঁকা ব্রিজের রেলিং ঘেঁষে মিনিট পনেরো দাঁড়িয়ে থাকার পর আজ আরেকটা ফাঁকা ব্রিজের রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছি আমার অনুপস্থিতিতে আমি, আমি, আমি।   ২ (মীর তাকি মির-কে, তাঁর ওষ্ঠপাশে, তাঁর চরণকমলে) কী দীর্ঘ রাত হেঁটে এসে মীর, জনশূন্য হয়েছ আখেরে? এত জনশূন্য হয়েছ তাকি মির যে বিরামপন্থাকে সহনীয় ভেবে বলেছে কেউ যদি দেখ একবার, কী তীব্র সকাল পানপাত্র বাজি রেখে তুমিও বলেছ অনিমেষে, এই তো সময় হল স্বকাল, স্বকাল।   ৩ ঈশপের অপ্রকাশিত গল্প ~ ঘোষণা করা হয়েছে, পতাকা উত্তোলন ও…

Read More
কবিতা 

কৈজাশ কোয়েঝা’র একগুচ্ছ কবিতা

১. ধোঁয়ার কবাট খুললে বেরিয়ে আসে রেশমি পাখির ডাক। শোনা যায় সমুদ্রপথের শঠকারীতা- হবিলেস নিকোটিন দরজা আটকিয়ে দিলে আমরা টেবিলে বসি। গপ্পো জমাই নিঃস্ব বর্তমানের। কখনো টেবিল বাজাই শ্বাসের পাউডার মেখে। তাল কাটলে মন্থনের গোধূলী স্নানের জলশূন্যতা মনে পড়ে। তবু বসে থাকি মিসলটো জগের হাতলে মাথা রেখে। শুনি জলাতঙ্ক পরীদের বাসনার পরিপক্বতা।   ২. ওহে ভায়াগ্রা জাতক- তলদেশীয় মোজার গিট্টু কলাপী মামু, ইম্পেরিয়াল তারের জোড়ায় মাসকিন ট্যাপ পেঁচালে গতিরোধ হয় কি? ভাবনার চোলাই গলানো শক্তিধর প্রেমিক ভায়া, এক্সপ্রেশনের তাবিজে নজর ধরো বেরিয়েও যেতে পারে বাঁধের ভাত শালিক নায়াগ্রা থেমে চাদরে…

Read More
কবিতা 

সুজালো যশ এর পাঁচটি কবিতা

হরিদ্রা হরিৎ বন্ধু রাফাত’কে ফাল্গুনীর চোখে ঢুকেই দেখি ছাতিমের হৃদয় থেকে সহস্র হারমোনিকা উড়ে যাচ্ছে ক্লান্ত ফুলেরা ঘুমাচ্ছে সবুজাভ দৃশ্য জড়িয়ে তাই ভাবলাম এবার অবলোকিতেশ্বর পাখি হবো পাহাড়ি নদীর সাথে সুর মিলিয়ে বলবো দুঃখ করোনা জীবন! এ যাবত- যতবার গোলক ধাঁধায় পড়েছি ততবার ঋণী হয়েছি এই বনজ কোলাহলের কাছে।   সওদাগরি চুমোর দিনে বিষণ্ণ দো-চুওয়ানির কোলে বোয়াল সন্ধ্যা নেমে এলে তরমুজবাদ থেকে কিছু অর্গ‍্যানিক কাজুফল উড়ে যায় উপেক্ষিত নাগর দোলায় তবুও দংশিত ঘেরা রোদ পৈতৃক মেনিফেস্টে অগ্রন্থিত ঠোঁট তুলে রাখে বহুরৈখিক চোখের কণায়।   প্রতিধ্বনির প্রতিফলন ধোঁয়াসার তত্ত্ব আওড়ে কার…

Read More
কবিতা 

তানভীর হোসেনের দশটি কবিতা

  কেমন জানি লাগতেছে বিকাল নামতেছে বাগানে বাগানে তবু যাওয়াদের সবাই কি ফিরতেছে? অনেক দূরে হুদাই মেঘের তাউরাশিতে কেউ না কেউ তো ঠিক মরতেছে! আইলসা চোতের বিকালটারে তোমার ঠাণ্ডা সোডা গিলতেছে তো গিলতেছে বিড়ালগুলা বড়ই গাছের ছায়ার ভিতর আপনমনে খেলতেছে তো খেলতেছে পিচ্চি দুইটা হলুদ প্রজাপতি তাদের ঘিরে উড়তেছে, এসব দেখে আমার জানি কেমন কেমন লাগতেছে! সেনার সারির মতোন রাবার গাছে পেয়ালাগুলা ঝুলতেছে, কি জানি কে যে কোন এক ফাঁকে সেসব ফাঁকা করতেছে! আমি খালি ছবিগুলার পেছন হাঁটা ত্রাসের ভেতর কাঁপতেছি, আমি খালি অন্ধকারে ঐ ছবির ভিতর মরতেছি তাও তো…

Read More