কবিতা 

তনুজের সাত কবিতা

এখনও ঘাসের ছিটকিনি খুলে বসে আছো? ১ কাল একটা ফাঁকা ব্রিজের রেলিং ঘেঁষে মিনিট পনেরো দাঁড়িয়ে থাকার পর আজ আরেকটা ফাঁকা ব্রিজের রেলিং ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছি আমার অনুপস্থিতিতে আমি, আমি, আমি।   ২ (মীর তাকি মির-কে, তাঁর ওষ্ঠপাশে, তাঁর চরণকমলে) কী দীর্ঘ রাত হেঁটে এসে মীর, জনশূন্য হয়েছ আখেরে? এত জনশূন্য হয়েছ তাকি মির যে বিরামপন্থাকে সহনীয় ভেবে বলেছে কেউ যদি দেখ একবার, কী তীব্র সকাল পানপাত্র বাজি রেখে তুমিও বলেছ অনিমেষে, এই তো সময় হল স্বকাল, স্বকাল।   ৩ ঈশপের অপ্রকাশিত গল্প ~ ঘোষণা করা হয়েছে, পতাকা উত্তোলন ও…

Read More
কবিতা 

কৈজাশ কোয়েঝা’র একগুচ্ছ কবিতা

১. ধোঁয়ার কবাট খুললে বেরিয়ে আসে রেশমি পাখির ডাক। শোনা যায় সমুদ্রপথের শঠকারীতা- হবিলেস নিকোটিন দরজা আটকিয়ে দিলে আমরা টেবিলে বসি। গপ্পো জমাই নিঃস্ব বর্তমানের। কখনো টেবিল বাজাই শ্বাসের পাউডার মেখে। তাল কাটলে মন্থনের গোধূলী স্নানের জলশূন্যতা মনে পড়ে। তবু বসে থাকি মিসলটো জগের হাতলে মাথা রেখে। শুনি জলাতঙ্ক পরীদের বাসনার পরিপক্বতা।   ২. ওহে ভায়াগ্রা জাতক- তলদেশীয় মোজার গিট্টু কলাপী মামু, ইম্পেরিয়াল তারের জোড়ায় মাসকিন ট্যাপ পেঁচালে গতিরোধ হয় কি? ভাবনার চোলাই গলানো শক্তিধর প্রেমিক ভায়া, এক্সপ্রেশনের তাবিজে নজর ধরো বেরিয়েও যেতে পারে বাঁধের ভাত শালিক নায়াগ্রা থেমে চাদরে…

Read More
কবিতা 

সুজালো যশ এর পাঁচটি কবিতা

হরিদ্রা হরিৎ বন্ধু রাফাত’কে ফাল্গুনীর চোখে ঢুকেই দেখি ছাতিমের হৃদয় থেকে সহস্র হারমোনিকা উড়ে যাচ্ছে ক্লান্ত ফুলেরা ঘুমাচ্ছে সবুজাভ দৃশ্য জড়িয়ে তাই ভাবলাম এবার অবলোকিতেশ্বর পাখি হবো পাহাড়ি নদীর সাথে সুর মিলিয়ে বলবো দুঃখ করোনা জীবন! এ যাবত- যতবার গোলক ধাঁধায় পড়েছি ততবার ঋণী হয়েছি এই বনজ কোলাহলের কাছে।   সওদাগরি চুমোর দিনে বিষণ্ণ দো-চুওয়ানির কোলে বোয়াল সন্ধ্যা নেমে এলে তরমুজবাদ থেকে কিছু অর্গ‍্যানিক কাজুফল উড়ে যায় উপেক্ষিত নাগর দোলায় তবুও দংশিত ঘেরা রোদ পৈতৃক মেনিফেস্টে অগ্রন্থিত ঠোঁট তুলে রাখে বহুরৈখিক চোখের কণায়।   প্রতিধ্বনির প্রতিফলন ধোঁয়াসার তত্ত্ব আওড়ে কার…

Read More
কবিতা 

তানভীর হোসেনের দশটি কবিতা

  কেমন জানি লাগতেছে বিকাল নামতেছে বাগানে বাগানে তবু যাওয়াদের সবাই কি ফিরতেছে? অনেক দূরে হুদাই মেঘের তাউরাশিতে কেউ না কেউ তো ঠিক মরতেছে! আইলসা চোতের বিকালটারে তোমার ঠাণ্ডা সোডা গিলতেছে তো গিলতেছে বিড়ালগুলা বড়ই গাছের ছায়ার ভিতর আপনমনে খেলতেছে তো খেলতেছে পিচ্চি দুইটা হলুদ প্রজাপতি তাদের ঘিরে উড়তেছে, এসব দেখে আমার জানি কেমন কেমন লাগতেছে! সেনার সারির মতোন রাবার গাছে পেয়ালাগুলা ঝুলতেছে, কি জানি কে যে কোন এক ফাঁকে সেসব ফাঁকা করতেছে! আমি খালি ছবিগুলার পেছন হাঁটা ত্রাসের ভেতর কাঁপতেছি, আমি খালি অন্ধকারে ঐ ছবির ভিতর মরতেছি তাও তো…

Read More
কবিতা 

নাহিদ ধ্রুব’র দশটি কবিতা

  এই তো জীবন এসেছি পাতার মতো বাতাসের সাথে ট্রেন তবু লেট করে এলো মাঝরাতে   টহল মেঘের দল এখনও সজাগ— তারায় খচিত আছে আশাবরী রাগ   তক্ষকের ডাক শুনি, প্লাটফর্ম ফাঁকা বিস্মৃত জীবন যেন জলরঙে আঁকা   তাকাবো না ভেবে ফিরে বারবার দেখি সমস্ত জীবন ছিল কতখানি মেকি   অতর্কিত বৃষ্টি এসে ভেঙে দেয় মোহ— প্রতিটি ফোটায় যেন মিশে গেছে দ্রোহ   নীরবতা ভাঙে শোনা যায় হুইসেল ফেরারি হয়েছি ভেঙে জগতের জেল   জীবন চলেছে কবে নিশ্চয়তা মেনে? টিকিটবিহীন আমি উঠে বসি ট্রেনে…   যেখানে যাওয়ার যাবো, প্রশান্ত এ…

Read More
কবিতা বিশ্বসাহিত্য 

আফগানি কবিতা- মুজগান ফারামানেশ ।। ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ

মুজগান ফারামানেশ ১৯৯০ সালে আফগানিস্তানের হেরাত শহরে জন্মগ্রহণ করেন এবং সেখানেই বেড়ে ওঠেন। তিনি হেরাত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্সি ভাষা ও সাহিত্যে ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি হেরাত সাহিত্য সঙ্ঘের একজন সক্রিয় সদস্য। তিনি সাপ্তাহিক কবিতা কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন। তার প্রথম কবিতার বই ‘আন্দিশাহেই-ই দার্দ-আলুদ’ (বেদনা সংক্রমিত প্রতিফলন) প্রকাশিত হয় হেরাতে ২০১১ সালে। তার দ্বিতীয় কবিতার বইয়ের নাম ‘গেরেয়ে কুর’ (অন্ধ গিঁট)। তার লেখা পত্রিকা, রেডিও এবং টিভিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচুর পরিমানে প্রকাশিত হয়। তিনি সাধারণত ক্লাসিক্যাল ফর্ম যেমন গজল, রুবাই (চতুষ্পদী শ্লোক) এবং মসনবী (ছন্দোময় যুগল) ইত্যাদি গতানুগতিক শৈলীতে…

Read More
কবিতা 

মৌলিক মজুমদারের সাতটি কবিতা

বেত্রবতী শুয়ে আছে সিনেমার মতো   তারপর ঘেঁটে দেখলাম কোনো চিহ্ন নেই চেঁছে তুলে নিয়ে গেছে কবচ কুন্ডল জেগেছে শরীরব্রহ্ম উপত্যকাময় আশীর্বাদী ফুল তুমি অশেষে দিয়েছ।   জোড়া ডানা পিঠে নিয়ে আমি বীতশোক অনেক উড়েছি প্রেমে সূর্যের কন্দরে চাকা বসে যাওয়াটাই যুগধর্ম নয় সময় সারাতে পারে যাপনের ক্ষত।   বেত্রবতী শুয়ে আছে সিনেমার মতো শুক্রতারাটির মতো জ্বলে আছে রাতে ডানায় কি এত জোর পাবো কোনোদিনও ঝাপটাই যত ডানা পরাভব প্রিয়!   প্রেম ছাড়া চোখ নেই অয়ি চক্ষুষ্মতী চোখ ভরে দেখি শুধু নদী মরে গেছে শুঁড়িখানা খুলে গেলে ডানা ঝরে যায়…

Read More
কবিতা 

গুচ্ছ কবিতা ।। পূর্ণিমা নকরেক

চুনিয়ার মেয়ে -১ চোখ খুঁজে পায় শাদা, আকাশি বই ছুঁই ছুঁই আকাশের রং… দক্ষিণের জানালায় ফুটে না ফুল লতানো পাতা গজায় প্রেমের শেষ পৃষ্ঠায় কানে এসে ফিসফিস করে লাল বাতি আমাকে জ্বালাও চকচক প্রেমভরা বাতিঘর প্রেমিকেরা রাঙায় কবির কবিতায়…   চুনিয়ার মেয়ে – ২ বারান্দায় পড়ে আছে দীক্ষাভরা চু। আমার পাতাঝরা বনে জোছনা দেখার গভীররাতে আমি বেছে নিয়েছি নাগরিক নিদ্রাহীন বন্দিত্ব। এখানে বারান্দাও বড্ড একা, ওখানে বনের ধারে আমার উঠোন জমজমাট। মাকড়সা হয়তো বাসা বেঁধেছে আমার পানপাত্রে কয়োনি, দিজনী, মেজনী আদি কথার অবসরে তাঁদের সারিকে হারানোর ব্যথা ভরে রাখে চুয়ের…

Read More
কবিতা 

শৈবাল নূরের কবিতা

  রূপকল্প আর ঘুমোবো না বলে— তোমার নিখিলমনের চোরাগোপ্তা গলিতে রাত্রিপ্রহরী হয়ে ঘুরছি আর ঘুমোবো না বলে — ন্যুড সোসাইটির ছিলগালা থেকে, প্রতীকী জালিয়াতির ব্যালোটনীতি থেকে, তোমার চোখের ডার্কনেসের পরিচর্চা হয়ে উঠতে চাইছি নিদ্রা ধ্যানের গুপ্ত সহোদর,  পুষ্পাঙ্খা— তোমার তন্দ্রা যাবার কালে আমি টুকরো টুকরো স্বপ্ন হয়ে ভেঙে পড়ি সমস্ত মর্মপিঙ্গলায়, করকমলে—     শরীরজ বাড়ির উঠানে নীলকন্ঠ ফুলগাছ কোমরের  মতো  সুডৌল বাঁকা ধনুকের ডালে ফুটে আছে অগনিত যোনিপুষ্প পরাগায়নের মোহে শিশ্নমৌমাছি নীল হয়ে যায়, মাছরাঙা কুশলতায় পাপড়ি স্থিরতা ঝরে পড়ে বাউলগানে, আদিমমুদ্রায়     না ফেরা বাড়িতে কোথাও মন…

Read More
আলাপচারিতা কবিতা গদ্য বিশ্বসাহিত্য 

জিম মরিসন এর “প্রস্তাবনা” এবং কয়েকটি কবিতা ।। ভাষান্তর: কায়েস সৈয়দ

আমি মনে করি সাক্ষাৎকার হলো শিল্পের নতুন একটি কাঠামো। আমি মনে করি আত্ম-সাক্ষাৎকার হলো সৃজনশীলতার নির্যাস। নিজেকে নিজে প্রশ্ন করা আর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করা। লেখক অব্যক্ত প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন।   এটা কাঠগড়ায় প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মতো। এটা সেই অদ্ভুত ক্ষেত্র যেখানে তুমি চেষ্টা করো আর অতীতে ঘটে যাওয়া কিছুকে সেঁটে রাখো আর তুমি যা করার চেষ্টা করছিলে তা মনে রাখার জন্য একান্তভাবে চেষ্টা করো। এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানসিক অনুশীলন। একটা সাক্ষাৎকার তোমাকে প্রায়শই তোমার মনের প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার সুযোগ করে দেয়— যা আসলে আমার কাছে শিল্পই। একটা সাক্ষাৎকার তোমাকে…

Read More